ভোটার তালিকা নিয়ে বিতর্কে উত্তাল ভারতের রাজনীতি

বিহারের বিধানসভার সামনে বিক্ষোভ
এশিয়া
বিদেশে এখন
0

পূর্ব ভারতের বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকা থেকে ৫২ লাখ ভোটারের নাম বাদ দেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দল। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়াকে অবাস্তব ও সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ বলছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক। আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গসহ যে রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন, সেখানেও সংশোধনী প্রক্রিয়া চালাবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই এই সংশোধনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এতেই এক ধাক্কায় বাদ পড়েছে ৫২ লাখ ভোটারের নাম।

তিন দফায় ভোটারদের বাড়িতে অনুসন্ধান চালানোর পর নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রায় ৪১ লাখ ভোটার নিবন্ধিত ঠিকানায় বাস করছেন না। মারা গেছেন অন্তত ১৪ লাখ ভোটার। এছাড়া আরও ৭ লাখ ভোটারের নাম আছে একাধিক নির্বাচনী এলাকার তালিকায়।

ভোটার তালিকার এই ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ নিয়ে জাতীয় স্তরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা। তাদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী সরকারের কথাতেই বিহারে ভোটার তালিকা পরিমার্জন করছে কমিশন। আসলে লক্ষ্য ভোট চুরি। এর জেরে গেল সোমবার এই সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দেয় নির্বাচন কমিশন। দাবি করা হয়, বেআইনিভাবে বা ভোটারদের অধিকার হরণ করে কোনো সংশোধন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে না।

২০২৬ এ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা ও তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। আদালত বাধা না দিলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া চালাবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। এতে করে রাজ্যে রাজ্যে আরও বেগবান হয়েছে বিজেপি বিরোধী আন্দোলন। ক্ষোভ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের এই ভোটার তালিকার হালনাগাদ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। উল্লেখিত ঠিকানায় গিয়ে ভোটারকে পাওয়া না গেলে তাকে তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এর যৌক্তিকতা নেই বলে দাবি করছেন অনেকেই। আবার এর সঙ্গে মোদি সরকার জড়িত এমন আশঙ্কাও জানিয়েছেন কোনো কোনো বিশ্লেষক- বলছে জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।

এসএস