ভারতে ভূমিধসে নিহত ৩০, বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশ

ভূমিধস ও বন্যায় বিপর্যস্ত ভারত
এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। জম্মু অঞ্চলের কাটরায় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের কাছাকাছি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মন্দিরে তীর্থযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে।

সিনিয়র পুলিশ সুপার পরমভির সিংকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গতকাল (মঙ্গলবার) বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের কাছে আধখোয়ারির ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের পাশে ভূমিধস ঘটেছে। অন্যদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, ডোডা জেলায় মেঘ-ভাঙ্গা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

জম্মু এলাকায় গত চারদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় সব নদীতে বিপদসংকেতের ওপর দিয়ে জল বইছে এবং রাস্তা ডুবে গেছে। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, যোগাযোগের ব্যাপক সমস্যার মধ্যেই প্রশাসনকে কাজ করতে হচ্ছে। জম্মু বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তিনি ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে বহু ট্রেন বাতিল হয়েছে, যার ফলে বহু তীর্থযাত্রী ওই অঞ্চলে আটকা পড়েছেন। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীসহ সেনাবাহিনীও উদ্ধার কাজে নেমেছে।

বাড়তি উদ্ধারকর্মী সহ দিল্লির নিকটবর্তী হিন্দোান বিমানঘাঁটি থেকে সি-ওয়ানথার্টি ও আইএল-৭৬ সামরিক বিমান জম্মুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এছাড়া জম্মু, উধমপুর, শ্রীনগর ও পাঠানকোটের সামরিক ঘাঁটিতে আরও বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা শোকবার্তা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের তিনটি জেলায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী দুদিনের জন্য লাল সংকেত জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান দপ্তর। এরইমধ্যে বিপাশা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে এবং চণ্ডীগড়-মানালি মহাসড়কের একটি অংশ স্রোতে ভেসে গেছে। জুন মাসের ২০ তারিখ থেকে হিমাচল প্রদেশে বর্ষার মরসুমে মোট ৩১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এএইচ