দৃষ্টিসীমা শূন্যের কাছাকাছি, এমন পরিস্থিতিতেই স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার দিকে দিল্লি-মুম্বাই মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায় পথচলতি ২০টির মতো যানবাহন।
শুধু সড়কে নয়, তীব্র ধোঁয়াশার কারণে অচলাবস্থার মুখে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার রেল আর বিমান যোগাযোগও। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ছয়-সাত ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে ৯০টির বেশি ট্রেন। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে কমপক্ষে ১০০ ফ্লাইট, বিলম্বিত ৩০০ বেশি। বিপাকে ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন বিমান সংস্থার হাজারো যাত্রী।
আরও পড়ুন:
রাজধানী নয়া দিল্লিতে ভোর ৬টায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সূচকেই বায়ু মান ছিল ৪৫৬, অর্থাৎ গুরুতর। বলা হচ্ছে, মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিষাক্ত বায়ু মান এটি। ধীর বাতাসে দূষিত বায়ুকণা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি আটকে থাকায় এমন পরিস্থিতি। বিষাক্ত ধোঁয়াশার পুরু স্তরে ঢেকে যাওয়ায়, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।
বায়ু মান সূচক বিপজ্জনক পর্যায়ে দিল্লিতে শনিবার থেকেই সরকারি ও বেসরকারি অফিস-আদালতে জনবল ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার এবং বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সব ধরনের নির্মাণ ও স্থাপনা ভাঙার কাজে।
ভারতের উত্তরাঞ্চলজুড়ে বিষাক্ত বাতাসের কারণে অঞ্চলটিতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুর।





