ইয়েমেনে মার্কিন হামলা, হতাহতের প্রায় সবাই আফ্রিকান বন্দি

মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইয়েমেনের ‘সাদা’ শহরের বন্দিশালা লক্ষ্য করে ভয়াবহ মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৮ জন। আহত হয়েছেন অর্ধশত। হতাহতের প্রায় সবাই আফ্রিকার নাগরিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে ইয়েমেন। এদিকে গাজায় নতুন করে ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ গেছে আরও ২৩ জনের। গাজা ও পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে।

ইয়েমেনি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দফায় দফায় মার্কিন বিমান হামলা। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাদা অঞ্চল। গাজার মতোই যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত গোটা এলাকা।

রোববার রাতে সাদার বন্দিশালা লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। শুধু বিমান নয়, লোহিত সাগরে নোঙর করা মার্কিন রণতরি ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রও ছোঁড়ে মার্কিন সেনারা।

তাদের এবারের লক্ষ্যবস্তু ছিল সাদা শহরের উত্তরাঞ্চলের বন্দিশালা। যেখানে শতাধিক আফ্রিকান অভিবাসী ছিলেন। মার্কিন এই হামলায় বন্দিদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে আল-জাজিরা।

ইয়েমেনি ভূ-খণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলার নিন্দা জানিয়ে একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে, একে যুদ্ধাপরাধ বলেও অভিযোগ তার। তাই এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ইয়েমেনের।

গেল মার্চের মাঝামাঝি থেকে হুথি নিধনের নামে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের দাবি, লোহিত সাগরে পশ্চিমাদের বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই ও হামলার শোধ নিতেই হুতিদের ওপর তাদের এ অভিযান। যদিও গেল দেড় মাসের মার্কিন অভিযানে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

একদিকে, যখন ইয়েমেন হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্যদিকে তখন একইপথে হাঁটছেন তার মিত্র ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুও। প্রতিদিনিই তার সেনারা আগ্রাসন চালাচ্ছে গাজার নিরীহ ও অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর। এতে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

এদিকে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে আলোচনা এগিয়েছে বলে দাবি কাতারের। তবে এখনও পৌঁছানো যায়নি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তবে অনেক বিষয়ে এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

একই দিন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননের বৈরুতেও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

এসএস