নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে গাজার মানুষ

মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গাজার ফিলিস্তিনিরা ছুটে বেড়াচ্ছেন এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে। কোথাও এক খণ্ড ভূমি নেই যেখানে পরিবার নিয়ে নিরাপদে ঠাঁই নিতে পারবেন তারা। আছে খাবারের কষ্টও। তাদের এই কান্না শোনার কেউ নেই। তারপরও যারা প্রাণে বেঁচে আছেন তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে কেবলই শুকরিয়া আদায় করে যাচ্ছেন।

কোথায় গেলে মিলবে জীবনের নিশ্চয়তা? কোথায় গেলে সন্ধান পাওয়া যাবে এক টুকরো নিরাপদ ভূমির? যেখানে ইসরাইল তাদের থাবা বসিয়ে কেড়ে নিতে পারবে না ছোট ছোট শিশুদের প্রাণ। সেই খোঁজে আজ ছন্নছাড়া লাখো ফিলিস্তিনি। ধংসস্তূপের মধ্য দিয়েই অবিরাম ছুটে চলা তাদের।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘কোথায় যাবো? গাজার পশ্চিম প্রান্তে যাবো? সেখানে বোমা হামলা করছে ইসরাইল। দক্ষিণ প্রান্তে যাবো? সেখানে খান ইউনিস শহরে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরাইল। দেইর শহরে যাবো? সেখানেও বোমা ফেলছে তারা। পরিবারের ছোট শিশুদের নিয়ে কোথায় যাওয়া উচিত?’

এসব ফিলিস্তিনিদের কান্না শোনার কেউ নেই আজ। ইসরাইলি হামলায় তারা হারিয়েছে আপনজন। হারিয়েছে বাড়ি-ঘর, সঞ্চিত সম্পদ। এখন মাথার ওপরে একটা তাবুর ব্যবস্থা করতেই রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।

গাজায় বসবাসকারীদের মেধ্য একজন বলেন, ‘না খেয়ে আছি। ভয়ও লাগছে প্রচণ্ড। পকেটে কোন টাকা নেই। আজ আমি যাযাবর। ইসরাইলি সেনারা বলছে পশ্চিম গাজার দিকে যেতে। সেখানেও নিরাপদ নই আমরা।’

গাজার প্রতিটি রাত যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে এক একটি দুঃস্বপ্ন। প্রতি রাতেই সাধারণ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি সেনারা। বোমা, আর গুলিতে ঝাঁঝরা করে ফিলিস্তিনিদের দেহ। ইসরাইলের এতো অত্যাচারের মধ্যেও যারা বেঁচে আছেন তারা কেবল সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।

এদিক-সেদিক ছুটে বেড়ানোদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমাকে এবং আমার সন্তানদের এখনও তিনি প্রাণে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কোলে নবজাতক শিশু রয়েছে। শিশুদের নিয়ে এদিক সেদিক ছুটতে ছুটতে করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’

গাজার মানুষে কাছে এখনও অজানা সামনের দিনগুলোতে তাদের জন্য কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। তারপরও স্বজনদের নিয়ে ছুটে চলছেন একটু নিরাপত্তার খোঁজে।

এসএস