তেল আবিবের রাতের আকাশ হঠাৎই আলোর ঝলকানি। ইহুদি ভূখণ্ডের দিকে ধেয়ে আসে তেহরানের শতাধিক মিসাইল। ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কয়েকটি প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও বেশিরভাগই আঘাত হেনেছে লক্ষ্যবস্তুতে।
অপারেশন রাইজিং লায়নের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি পরিচালনা করে ইরান। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় রামাত গান এলাকা। বেসামরিক স্থাপনা ও যানবাহন নিমিষেই পরিণত হয় কংক্রিট-ইস্পাতের জঞ্জালে। আহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যায় হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্স ও সাইরেনের শব্দে ইসরাইলজুড়ে তৈরি হয় ভীতিকর পরিবেশ।
আরো পড়ুন:
ধ্বংসস্তূপের দৃশ্য দেখে সামরিক বাহিনীর সমর্থনে রাস্তায় উল্লাস প্রকাশে নেমে আসে ইরানের সাধারণ মানুষ। এসময় হাতে শোভা পায় ইরান ও আইআরজিসির পতাকা। উল্লাসের সময় স্মরণ করা হয় শুক্রবারের হামলায় নিহত ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তাদের।
ইরানের স্থানীয় একজন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত কারণ শীঘ্রই ইসরাইল ধ্বংস হতে যাচ্ছে। আশা করছি, ইসরাইলকে ধ্বংসের মাধ্যমে গাজাবাসী প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা পাবে।’
যদিও ইরানের হামলার জবাবে রাতেই পাল্টা জবাব দেয় ইসরাইল। এসময় মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগুনের কুণ্ডলী দেখা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে রাজধানী তেহরানে। রাতের হামলায় দুইটি ইসরাইলি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করেছে আইআরজিসি।’
আরো পড়ুন:
এর আগে ইরানি জনগণের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জানান, অপারেশন রাইজিং লায়ন অব্যাহত থাকবে। যা তেহরানের পারমাণবিক ও মিসাইল সক্ষমতা ধ্বংসে ব্যবহার করা হবে। ইরানিদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে ইসরাইল সমর্থন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে ইসরাইলের হামলায় নাতাঞ্জের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা।
এদিকে সংঘাত নিয়ে বিশেষ সেশন আহ্বান করে জাতিসংঘ। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কূটনীতির আড়ালে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ তোলে ইরান। যদিও তা অস্বীকার করে ওয়াশিংটন। বিপরীতে জাতীয় সুরক্ষার জন্য হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তেল আবিব।