হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তেজনা তুঙ্গে ইরান-ইসরাইল সম্পর্ক। তেহরানে হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলে শতাধিক মিসাইল ছুড়েছে ইরান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেল আবিবের বিভিন্ন স্থাপনা।
দুপক্ষের এমন সংঘাতে ভীত হয়ে পড়েছেন ইসরাইলি বাসিন্দারা। জেরুজালেম ও আশেপাশের এলাকায় ইরানের মিসাইল হামলায় আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই ছুটে যান বাংকারে। আগামীতে বড় হামলার আশঙ্কায় জেরুজালেমের সুপারশপগুলোয় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও পানি। নিত্যপণ্য মজুত করার দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ভীত ইসরাইলিরা। এমন অবস্থায় সুপারশপে দেখা দিয়েছে নিত্যপণ্য সংকট।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি সরকারের নির্দেশে খাদ্য মজুত করতে এসেছি। জানি না আগামীতে কী পরিস্থিতি হবে। ইসরাইল সরকার যা বলবে আমরা তাই করবো।’
আরো পড়ুন:
অন্য একজন বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ভীত। সংঘাত কোন পর্যায়ে যাবে তা চিন্তা করার মতো। হয়তো খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে।’
একজন ইসরাইলি বলেন, ‘দুই পক্ষকেই সংঘাত নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। আমি ইসরাইলে থাকতে পেরে আনন্দিত। আমি এখানেই থাকতে চাই।’
অন্য একজন বলেন, ‘ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত কার্যকর। তবে যা হচ্ছে এটি অপ্রত্যাশিত। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এদিকে ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তেহরান জুড়ে উল্লাসে করেন ইরানের জনতা। নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিলে রাস্তায় নেমে আসেন সবাই।