ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ বেশ পুরোনো। যদিও আত্মসম্মানে আঘাত হানায় এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কুখ্যাত নারী নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একদিন পরই মিয়ামির ফেডারেল আদালতে মামলা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিবাদীর তালিকায় রয়েছেন ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী ডোও জোন্স, দুই প্রতিবেদক, নিউজ কর্প, এর কর্ণধার রুপার্ট মারডক ও প্রধান নির্বাহী রবার্ট থমসন। মানহানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক হাজার কোটি ডলার দাবি করেছেন রিপাবলিকান এই নেতা।
মিডিয়া মোগল মারডককে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ানোর বিষয়টিকে ইন্টারেস্টিং এক্সপেরিয়েন্স বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। অপতথ্যের বিরুদ্ধে মার্কিনদের অধিকার সমুন্নত রাখার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট। যদিও প্রতিবেদনে কোনো ত্রুটি নেই বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। বিশ্লেষকদের দাবি, অঙ্কের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানহানির মামলা হতে যাচ্ছে এটি।
এদিকে ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুযায়ী এপস্টেইনের মামলার আরও নথি উন্মুক্ত করতে নিউইয়র্কের আদালতে আবেদন করেছে বিচার দপ্তর। গেলো বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে জেফরি এপস্টেইনকে আপত্তিকর চিঠি পাঠান ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবেদন প্রকাশের পরই একে মিথ্যা বলে দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মামলা করার ঘোষণার পাশাপাশি এপস্টেইন সম্পর্কিত আরও অপ্রকাশিত নথি প্রকাশের নির্দেশ দেন অ্যাটর্নি জেনারেলকে।
কিশোরীদের পাচার ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ২০০৮ সাল থেকেই নিউইয়র্কের একটি কারাগারে ছিলেন জেফরি এপস্টেইন। বিচার চলার সময়ে ২০১৯ সালে কারাগারেই অস্বাভাবিকভাবে মারা যান তিনি। যাকে আত্মহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে একে হত্যা বলে দাবি করেন অনেকে।