অভিযুক্ত প্রদীপ বসু জেলা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখে রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আহসানুল হক জানান, প্রদীপ বসুর ডিএমএফ (ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি) ডিগ্রি রয়েছে এবং তিনি বিএমডিসির ‘ডি ক্যাটাগরি’ রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু বিএমডিসির আইন অনুযায়ী এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা বেআইনি।
তিনি বলেন, ‘ভুয়া ডিগ্রি দেখিয়ে রোগী দেখা একটি গুরুতর অপরাধ। তাই বিএমডিসি আইনে প্রদীপ বসুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড চালালে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযানের সময় প্রদীপ বসু ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং তার বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থাকে ‘হেনস্তা’ বলেও দাবি করেন। তিনি জানান, চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার অধিকার চেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন এবং সেটি বিচারাধীন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রদীপ বসুর বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ আগে থেকেও ছিল। কিন্তু তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এম আর পারভেজ ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।