শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগকে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে ভূমিকা রাখেন নুসরাত ফারিয়া। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হতে, শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। অনলাইন জুয়ার সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।’
জুলাই আন্দোলনের সময় নুসরাত ফারিয়া বিদেশে অবস্থান করেছেন। আন্দোলন দমনে কীভাবে তিনি ছাত্রজনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছেন? রাষ্ট্রপক্ষকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ফারিয়ার আইনজীবী অ্যাড. ফারহান মোহাম্মদ আরাফ।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘বিদেশে অবস্থান করেও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্দোলন দমনে ভূমিকা রাখা যায়। যা তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
আদালতের এজলাসে শুনানি চলাকালে নুসরাত ফারিয়াকে অনেকটা বিমর্ষ অবস্থায় দেখা যায়। শুনানির পুরোটা সময় ছিলেন চুপচাপ।
এর আগে, রোববার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। থাইল্যান্ড যাওয়ার উদ্দেশে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গেলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে আটক করে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গণঅভ্যুত্থানের সময় দায়ের করা মামলায় নুসরাত ফারিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আসামি করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় আনা হলেও পরে সেখান থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, নুসরাত ফারিয়া ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপর থেকে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ২০২৩ সালে নুসরাত ফারিয়া শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।