মামলার বিবরণ জানা যায়, টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এর প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় শাহ আলম তার বড় ভাই বীরসিংহ পাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে ভাবি জাহানারা খাতুনকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে।
জাহানারার চিৎকারে তার মেয়ে শারমিন আক্তার ও ছেলে সুজাত মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করে শাহ আলম। এসময় পাশের বাড়ির শিমুল মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ঘটনাস্থলেই জাহানারা খাতুন মারা যান। পরে শারমিন আক্তার ও শিমুল মিয়াকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুজাত মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ভিকটিমের বোন জামাই মোহন মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এছাড়া একমাত্র আসামি শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় একমাত্র আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই এ রায় দ্রুত কার্যকর হবে।’