গত ১৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মোল্লা মো. খালিদ হোসেন আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিমএম ফারহান ইশতিয়াক প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, ফৌজদারি বিধান ১৭৩ (এ) ধারা মোতাবেক অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, এ মামলার তদন্তের এক পর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ (১৭ বছর ৩ মাস) জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় শিশু হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
গত বছরের ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় কে বা কারা মৃত পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। পরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। এ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়। এ মামলায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
এর মধ্যে এজাহারনামীয় ১৬নং আসামি শিশু হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি ও পারিপার্শ্বিকতায় এ মামলার ঘটনায় আসামি শিশু হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ (এ) ধারামতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনে এ মামলা থেকে শিশু ফাইয়াজকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে আদালত আদেশ দেন।’
এদিকে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইয়ুম হোসেন নয়ন জানান, শিশু ফাইয়াজের মামলাটি ছিল মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি জানান, এ মামলা থেকে ফাইয়াজের অব্যাহতি বিচার অঙ্গনে নতুন নজির সৃষ্টি করবে।