বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী রোববার (২৭ জুলাই) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের মত করে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে একটি বড় বৈষম্য সৃষ্টি করছে। ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রিটে আরও বলা হয়, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়মে গ্রেড প্রদান করছে, যা ইউজিসির নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউলা)।
এ রিটের আদেশের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা ও মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নীতিগত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চলমান। অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল না থাকায় একাডেমিক ও চাকরিক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।