আজ (বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল কবির ও প্রানোরাম কান্তি চৌধুরীর নেতৃত্বে আদালত ভবনের ২ নং আইনজীবী ভবনের ৫২৩ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়।
এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্ত ভুয়া কাজী মামুন কৌশলে পালিয়ে যান। কক্ষটির বরাদ্দপ্রাপ্ত আইনজীবী মাকসুদা আক্তার অভিযানস্থলে উপস্থিত না হলেও তার শিক্ষানবিশ উজ্জ্বলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় প্রশাসন।
এর আগে, বুধবার দুপুরে ওই চেম্বারে বাল্যবিবাহ পড়ানোর সময় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
তদন্তে জানা যায়, আইনজীবী মাকসুদা আক্তারের চেম্বারটি ব্যবহার করতেন মামুন। তিনি প্রতিনিয়ত সেই কক্ষ থেকে বাল্য বিবাহ দিয়ে আসছিলেন।
অভিযানকালে উদ্ধার হওয়া নথিপত্রে একাধিক বাল্যবিবাহ ও ভুয়া নিকাহ রেজিস্ট্রেশনের প্রমাণ মেলে। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান বলেন, ‘আইনজীবীর চেম্বারে ভুয়া কাজীর অফিস ও বাল্যবিবাহের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এমন অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে সতর্ক করেন তিনি।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রায়হানুল কবির জানান, জব্দ করা আলামত ও আটক ব্যক্তির জবানবন্দির ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।