মামলায় অন্য আসামীরা হলেন-কৃষক লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ সিদ্ধিরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক আব্দুল মতিন প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সাবেক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল। মামলায় এক থেকে দেড়শ’ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটের বিক্রমপুর হার্ডওয়ার নামক দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতো। ২০২৪ সালের ২১ জুলাই ঘটনার দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারো ছাত্র-জনতার মিছিলে যোগ দেয় নিহত সজীব।
আরও পড়ুন:
এ সময় আন্দোলন দমন করতে ১নং বিবাদী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুকুমে ২নং বিবাদী সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পরিকল্পনায় ৩নং আসামি সাবেক এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে আসামিগণ নারায়ণগঞ্জে গোপন বৈঠক করে নারায়ণগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশের এলাকায় অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশিয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায়। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় বিবাদীদের ছোঁড়া গুলিতে সজিব গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।