অনুমোদন ছাড়া পৌনে তিন লাখ মুসল্লির মক্কায় প্রবেশ আটকালো সৌদি আরব

কাবা শরীফে মুসল্লিদের অবস্থান
ধর্ম
জীবনযাপন
0

পবিত্র হজ শুরুর আগেই পৌনে তিন লাখ অনুমোদনবিহীন মুসল্লির মক্কায় প্রবেশ আটকে দিলো সৌদি আরব। নির্দেশনা অমান্য করায় ২৩ হাজার সৌদি নাগরিককে শাস্তি এবং ৪০০ হজ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে বিধি মেনে হজ পালনে মক্কায় প্রবেশ করেছেন ১৪ লাখের বেশি মুসল্লি।

এক বছর আগেই পবিত্র হজে অংশ নিতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে প্রাণ যায় রেকর্ড এক হাজার ৩০০ এর বেশি মুসল্লির। সৌদি সরকারের দাবি, এদের বড় অংশই অনুমোদন ছাড়া হজে অংশ নেয়ায় পাননি প্রাথমিক চিকিৎসাসহ কর্তৃপক্ষের কোনো সেবাই। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্যও দায়ী করা হয় অনুমোদনহীন হজ প্রত্যাশীদের। এছাড়া প্রায়ই হজের সময় ভিড়ে পদদলিত হয়ে ঘটছে মৃত্যুসহ নানা দুর্ঘটনা।

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হজ, মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন বাধ্যতামূলক। হজের সময় এগিয়ে আসতে থাকায় সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে যাত্রা শুরু করছেন পবিত্রভূমির উদ্দেশ্যে। চলতি বছর হজ শুরুর আগেই গত রোববার (১ জুন) পর্যন্ত হজের অনুমোদনবিহীন প্রায় পৌনে তিন লাখ মুসল্লিকে মক্কায় প্রবেশ করা থেকে আটকেছে সৌদি সরকার।

মক্কায় অবৈধ প্রবেশ বন্ধে খড়গহস্ত হজ কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মক্কায় অনুপ্রবেশ চেষ্টার সময় বহিষ্কৃতদের সংখ্যাই প্রমাণ যে, দিন দিন হজ প্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ছে এবং একইসঙ্গে বাড়ছে অনুমোদন ছাড়াই হজে অংশ নেয়া মানুষের।

চলতি বছর হজে অংশ নিতে এর মধ্যেই মক্কায় প্রবেশ করেছেন ১৪ লাখের বেশি হজ প্রত্যাশী। আগামী কয়েকদিনে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা প্রশাসনের। অনুমোদনবিহীন হজের জন্য পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা, দেশত্যাগসহ নানা দণ্ডের ব্যবস্থা রেখেছে সৌদি সরকার। সৌদি আরবের নাগরিক এবং বৈধ প্রবাসীরাও এ নীতির অন্তর্ভুক্ত।

হজ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, কেবল হজের অনুমতিপ্রাপ্তরাই হজের সময় মক্কায় প্রবেশ করতে পারবেন। সারাবছর মক্কায় থাকলেও হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক। হজের বিধি অমান্য করায় এ পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি সৌদি নাগরিককে নানা শাস্তি দেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ৪০০ এর বেশি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন।

চলতি বছর হজ চলাকালীন নজরদারি ও পর্যবেক্ষণে প্রথমবার ড্রোন ব্যবহার করছে সৌদি সরকার। দ্রুততম সময়ে আগুন নেভাতেও সাহায্য করবে এসব ড্রোন।

এসএস