আজ (শুক্রবার, ২৯ আগস্ট) ছুটির দিনে সবজির ঝুড়িতে উত্তাপ নিয়েই কাঁচাবাজারে ক্রেতারা। করলা, কচুর লতি, কাঁকরোল, বরবটি আর পটোল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বেগুনের দাম মান ভেদে ১০০ টাকাও দাম হাঁকাচ্ছেন। গাজর কেজি ১২০ আর টমেটো ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন দোকানিরা।
শত টাকার নিচে এখন মিলছে হাতেগোনা কয়েকটি সবজি। লাউ আকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা আর চালকুমড়ো ৭০ টাকা কেজি দরে। এরমধ্যেই কাঁচামরিচের দাম কেজি প্রতি ২৫০ টাকা।
ক্রেতারা জানান, সবকিছুর দাম বেশি। আগে যেটা ৮০ টাকায় পাওয়া যেত তা এখন ১২০ টাকা চায়। দাম এরকম চলতে থাকলে জনগণ চলতে পারবে না। চাল ডাল আটা সবই দাম বেশি। বাজারে আসলেই দামের পরিবর্তন হয়ে যায়।
দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি জানালেও, বিক্রেতাদের যুক্তি বন্যার প্রভাবে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, চালের দাম সিজন অনুসারে অত্যধিক বেড়েছে। এখন ওই অবস্থায় স্থিতিশীল আছে।
আরও পড়ুন:
সবজির পাশাপাশি বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও। কেজিতে আটার দাম ৬ থেকে ১০ টাকা, ময়দায় ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি চাপ পড়েছে ডালের বাজারে।
ছোট দানার মসুর ডাল কেজিতে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ১০৫ টাকা, মুগডাল ২৫ টাকা বেড়ে এখন ২০০ টাকার কাছাকাছি, আর ছোলা কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা।
চালের বাজারেও ভোগান্তি রয়ে গেছে। যদিও গত সপ্তাহে মিনিকেট চাল কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি এক থেকে দেড় টাকা। তবু এখনো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে, ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ৮০ টাকা, রশিদ ৭২ টাকা আর মোজাম্মেল মিনিকেট ৮৫ টাকা কেজি দরে।
এদিকে আমিষের বাজারে মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। হালিতে চার টাকা কমেছে ডিমের দাম।