প্রতিদিন নৌকা-ট্রলার আর জাল নিয়ে নদীতে যাচ্ছেন জেলেরা। তবে বেশিরভাগ জেলে ইলিশ না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন। কেউ কেউ ইলিশের জালে পাচ্ছেন পোয়া ও পাঙ্গাস মাছ। সরবরাহ কমায় সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি মণ ইলিশের দাম ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলেরা বলেন, প্রতিবছর নিষেধাজ্ঞা শেষে ৭-৮ দিন আমরা নদীতে ভালো মাছ পাই। কিন্তু এবার আমরা একদিনও মাছ পাইনি। যে আশা নিয়ে আমরা নদীতে গিয়েছিলাম সেই আশা পূরণ হচ্ছে না।
আড়তদাররা বলছেন, আড়তে ইলিশের সরবরাহ নেই বললেই চলে। জেলেরা পোয়া আর পাঙ্গাস মাছ নিয়ে আসছে। আমরাও আশায় ছিলাম যে জেলেরা এবার ভালো মাছ পাবে কিন্তু ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
ভোলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজ হাসনাইন বলেন, এবছর জেলায় ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৯২ হাজার টন নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশ কম মিললেও নদীতে পাঙ্গাসসহ অন্য মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
জেলায় দুই লাখের বেশি মানুষ মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর মধ্যে অনেকের বিকল্প আয়ের উৎস নেই।