মে দিবস বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি। তার সাথে যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটির আরও দু'দিন। এই টানা ৩ দিন দিনের ছুটিতে রাজধানীর বাজারে ক্রেতা সংকট।
শীতকাল শেষ হয়েছে তবে বাজারে এখনো রয়েছে শীতের কিছু সবজি। যার দাম চড়া। মাঝারি সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে পিস প্রতি ৬০ টাকা আর বাঁধাকপির দাম ৭০ টাকা। গত সপ্তাহেও দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পিস। এদিকে বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কমেছে। তবে বেড়েছে শসা আর ধনেপাতার দাম।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘এখন আমদানি বেশি তাই দাম কম।’ আরেকজন বলেন, ‘যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আমদানির সমস্যা নেই।’
এদিকে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায় মশলা জাতীয় সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম। বিক্রেতারা বলছেন, যে পেঁয়াজ গতবছর বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৫০ টাকা কেজিতে, এবছর এই সময়ে একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
আর রসুন প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর বাজারে স্বস্তি আছে। বাজারভেদে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৬ থেকে ২০ টাকায়। এই বাজারে বাজার করতে এসে খুশি ক্রেতারা।
ক্রেতাদের একজন বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবারে দাম কম। সবজির বাজার আগে যেমন ছিল তার থেকে কম।’
বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান। আর এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চালের বাজারে। টানা কয়েক দিন দাম বৃদ্ধি থাকলেও কমতে শুরু করেছে চালের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন ধান মিলে উঠলেই আরো কমে যাবে চালের দাম।
এদিকে বাজারে আমিষ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৩০০ টাকা আর গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা। আর লাল ডিমের দাম ডজন প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা ডজন।
সরকারি পর্যায়ে চলা কৃষিবাজারগুলোকে আরও সক্রিয় করার আহ্বান জানান ক্রেতারা।