যেখানে ২০০ টাকায় ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকায় দুই কেজি পেঁয়াজ আর ৩০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ভোক্তারা।
তবে উদ্বোধনী দিনে এই কার্যক্রমে দেখা যায় নানা অসংগতি। চারটি পণ্য বিক্রির কথা থাকলেও বেশিরভাগ পয়েন্টে বিক্রি হয় দুটি পণ্য। কোথাও কোথাও দ্রুতই ফুরিয়ে যায় পণ্য। অনেকেই ফিরে যান খালি হাতে। তাদের অভিযোগ, ফ্যামিলি কার্ডধারীরাও দাঁড়াচ্ছেন লাইনে।
তবে ৪৮০ টাকার এই প্যাকেজ যারা কিনতে পেরেছেন তাদের মধ্যে ছিল স্বস্তি।
তারা বলেন, ‘দোকান থেকে এসব পণ্য কিনলে অনেক বেশি দাম দিতে হতো। কিন্তু এখান থেকে আমরা অনেক কম দামে পণ্যগুলো কিনতে পেরে খুশি।’
ট্রাকসেলের হিসাব বলছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯ হাজার ভোক্তা পাবেন এই কার্যক্রমের সুবিধা। তবে সুলভে পণ্য বিক্রির এই কার্যক্রমে একই ব্যক্তি একাধিকবার পণ্য কেনার মতো ঘটনাও ঘটছে। যেন দেখেও দেখার কেউ নাই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টিসিবি ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, মূল্যস্ফীতির বাজারে স্বস্তি ফেরাতে ভূমিকা রাখবে এই কার্যক্রম।
বাণিজ্য সচিব জানান, বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তবে ভোক্তার সুবিধার্থে ঢাকার বাইরেও চালানো হবে এই কার্যক্রম।
প্রথম দিনে একাধিকবার পণ্য নেয়ার ঘটনাও হলেও তা শনাক্ত করার কোন পদ্ধতি তৈরি করেনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।