আহত সাতজনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল থেকে ১ জন, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি থেকে ১ জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতাল থেকে ৩ জন এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে ২ জন ছিলেন।
বিএমইউর আব্দুল জব্বারের ইউরিনারি ব্লাডারের/ মূত্রথলির পাশে এখনো বুলেট আছে। অন্যদিকে সিএমএইচের আশরাফুল সম্পূর্ণ প্যারালাইস হয়ে গেছেন। ৫ আগস্ট আন্দোলনের সময় তিনি যাত্রাবাড়ী এলাকায় ছিলেন। নিউরোসাইন্সের তরুণের বাম পা প্যারালাইস হয়ে গেছে। বাকিদের সবাই নার্ভের ইনজুরির ফলে স্বাভাবিক চলাচলের সক্ষমতা হারিয়েছেন।
এ নিয়ে সর্বমোট ৪৭ জন আহত যোদ্ধাকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। সর্বশেষ খোকন চন্দ্র বর্মন তার মুখের রিকনস্ট্রাকশন সার্জারির প্রথম ধাপ শেষ করে রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন গত ৭ মে।
সামনে আরো ২০ জনের অধিক আহতকে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান।
আহতরা তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরে আনা হয়। তাদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাদিয়া, নুসরাত এবং ইমরানসহ ছাত্র প্রতিনিধিরা।