সারাদেশে চলছে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট

পেট্রোল পাম্প
দেশে এখন
0

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ পার্সেন্ট করাসহ ৭ দফা দাবিতে আজ (রোববার, ২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরী মালিক ঐক্য পরিষদ। এদিন দুপুর ২টা পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প বন্ধের পাশাপাশি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেট্রোল পাম্প বন্ধের খবর পাওয়া গেছে।

ধর্মঘটের কারণে ভোর থেকে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি অয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে ডিপো এলাকা। ট্যাংকলরীর শ্রমিকেরা ভোর থেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন। বাঘাবাড়ি অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ থাকায় উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় তেল সরবরাহও বন্ধ রয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেলের সংকট তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের ধর্মঘটের বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কমিটি গঠন করে দিয়েছে। কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেখবে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে। কমিটির মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করা যাচ্ছে, সংকট কেটে যাবে।

কমিশন বৃদ্ধিসহ সাত দফার দাবির মধ্যে রয়েছে— সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা, পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলিয়া গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরী চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সকল ট্যাংকলরী জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা, বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।

পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে অনেকগুলো দাবি মিলে যাওয়ায় সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নৈতিক সমর্থন দিয়েছে। তবে সংগঠনটি ধর্মঘটে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংগঠনটির মহাসচিব ফারহান নূর। তিনি জানান, ধর্মঘটে যেতে হলে আল্টিমেটাম দিতে হবে। আমরা কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

তার দাবি, ২০১৭ সালে তৎকালীন জ্বালানি উপদেষ্টা সিএনজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশন ২.৯৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়। এরপর মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হয়, এতোদিন পার হয়ে গেলেও পরে আর ১.৯৮ টাকা বাড়ানো হয়নি। এরপর কয়েক দফায় বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর কারণে আমাদের খরচ বেড়েছে কিন্তু কমিশন আর সমন্বয় হয়নি। এতে করে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। ধর্মঘটে যাওয়ার জন্য মালিকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে।

এসএস