পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুশ ইন হচ্ছে, ফিজিক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা আজকে বা আগামীকাল আরেকটা চিঠি দেব এ বিষয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, এটা যেন সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী হয়। তারা কিছু ক্ষেত্রে বলেছে, এক্ষেত্রে কিছু জট আছে, তোমরা সেগুলো ঠিকমতো করছ না। আমরা চেক করে দেখেছি, দীর্ঘদিন আগের তালিকা আছে একটা এবং আমরা পাশাপাশি এটাও দেখেছি যে, আসলে তাদের তালিকা অনুযায়ী আমরা চেকআপ করে অনেককে নিয়েছি।’
কনস্যুলার ডায়ালগের বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা চিঠি পাঠাব। যেটাতে আমরা কিছু পদ্ধতির কথা আরেকবার উল্লেখ করব এবং আমাদের যে পদ্ধতি আছে, কনস্যুলার আলাপ-আলোচনার, সেটাও আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করব। কনস্যুলার ডায়ালগ হতে পারে। যেহেতু এখন একটা ইস্যু আছে। এটাও হতে পারে।’
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত আনানোর ব্যাপারে ভারত এখনো কোনো রিঅ্যাকশন দেয়নি। আমরা দ্বিতীয় কোনো পত্র দেইনি। প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গে টেনে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি। শক্ত ভাষায় প্রতিবাদ চলবে। নির্বাচনের ব্যাপারে বিদেশি বন্ধুরা জানতে চাইলে সরকারের সিদ্ধান্তই তাদের জানানো হয়।’
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরা বিকল্প তৈরি করেছি। বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী। আমাদের সবার আগে ঘর সামলাতে হবে। যেভাবে নিয়ম মেনে-না মেনে লোকজন যাচ্ছে, তাতে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।