বরগুনার পর কুমিল্লাকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে ঘোষণা

বরগুনার একটি হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ড
এখন জনপদে
দেশে এখন
0

দেশের বিভিন্ন স্থানে আশঙ্কাজনকহারে ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বরগুনার পর এবার কুমিল্লাকে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েকটি জোনকে চিহ্নিত করা হয়েছে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে। ভয়াবহতার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছেন আইইডিসিআরর বিশেষজ্ঞ দল।

আষাঢ়ে উপকূলজুড়ে যেন বইছে শোকের শ্রাবণ ধারা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাদল দিনে চিরবিদায় নেয়া বরগুনার হেউলিবুনিয়া গ্রামের কৃষক বাদলের পরিবারে মাতম।

গ্রামের কৃষক কিংবা জেলে সকলেই ডেঙ্গু আতঙ্কে। তবে জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পৌরশহর ও গৌরিচন্না ইউনিয়ন। উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ার পরও এখানে কেন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা। সে কারণ অনুসন্ধানে গবেষণার কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরর বিশেষজ্ঞ দল।

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. রত্না দাস বলেন, ‘কেন ডেঙ্গু বেড়েছে আমরা শুধু তা দেখবো না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা কী কী ব্যবস্থা নিতে পারি তার জন্য একচা সার্ভে করবো আমরা।’

এদিকে প্রশাসনের পদক্ষেপে দুদিনেই শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট কাটাতে আরো পদক্ষেপের কথা জানান জেলা প্রশাসক।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এরইমধ্যে আমাদের এখানে ১০ জন ডাক্তার, ১০ জন নার্স ও পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।’

মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় নতুন করে আরও ৮২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৯৮৫ জনে। আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। বেসরকারি হিসেবে মৃতের সংখ্যা ১০ জনের বেশি।

এদিকে কুমিল্লাতেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। তবে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি দাউদকান্দি পৌরসভায়। এরইমধ্যে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ শুরু হলেও ঈদের ছুটিতে তা ভয়াবহ রূপ নেয়।

কুমিল্লার দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘অনেক রোগী আছেন যারা অবহেলা করে চিকিৎসা নিতে আসছেন না। কিন্তু পরে খারাপ হয়ে আসছেন। আমরা নিজেরা আমাদের কর্মীদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

দাউদকান্দি উপজেলায় বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু পাঁচ ও নম্বর ওয়ার্ডেই আক্রান্ত হন পাঁচ শতাধিক মানুষ। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয় ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

এসএস