তিনি বলেন, ‘পরিবেশ মেলা চলবে ২৫ থেকে ২৭ জুন এবং বৃক্ষমেলা চলবে ২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদানের জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ জাতীয় পুরস্কার-২০২৫ ও বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে।
উপদেষ্টা জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং বনসম্পদ উন্নয়নে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ এবং বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ইতোমধ্যে ১ জুন থেকে স্ট্র, স্টারার ও কটন বাড নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ১৭টি সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে চট্টগ্রামের ৮টি ও দেশের ৪০টি উপজেলাকে ‘এক্সপোজড কোস্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গত বছর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ৮১৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২ লাখ ৩৩ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। বনভূমি রক্ষায় ১ হাজার ৭১৭ একর জমি পুনরুদ্ধার এবং বেজাকে দেওয়া ৪ হাজার ১০৪ একর জমি পুনরুদ্ধারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।