শহীদদের আত্মদানকে বৃথা হতে দেয়া যাবে না: রিজভী

ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি, রুহুল কবির রিজভী
দেশে এখন
2

বছর ঘুরে ফিরে এলো জুলাই। যে জুলাইয়ে হাজারও প্রাণের বিনিময়ে পতন হয়েছিল আওয়ামী লীগের আধিপত্যবাদের। জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সংগীত আর মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে ছাত্রদল। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতারা জানান, শহীদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে নতুন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে।

ঘড়ির কাটায় রাত ১২টায় শুরু হয়েছে অভ্যুত্থানের মাস। ফিরে এসেছে মহাকাব্যিক রক্তিম জুলাই।

প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমস্বরে আওয়াজ উঠলো; আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

এরপর শত শত মোমবাতির আলোকধারা। যে আলোয় স্মরণ করা হলো জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হাজারও ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাইয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘‌আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা ছাড়াও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রথম প্রহরের আয়োজনে অংশ নিয়ে জুলাইয়ের উত্তাল দিনগুলোর কথা স্মরণ করে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, অভ্যুত্থানের চেতনা রক্ষায় ছাত্রদল সবসময় চেষ্টা করবে।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতায় প্রায় ১১ মাস অতিবাহিত হয়েছে। ছাত্রদল আজ গেস্টরুম প্রথা পুরোপুরি বিলুপ্ত করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা রক্ষা করার জন্য ছাত্রদল ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে সেই প্রতিজ্ঞা করছি।’

বিএনপি নেতারা জানান, জুলাই অভ্যুত্থান কোনো নির্দিষ্ট দলের নয়, আপামর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। সংগ্রামের স্বপ্ন পূরণে ছাত্র সমাজকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে থাকার আহ্বান জানান তারা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ, নারীসমাজ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ ঘটিয়েছে। এটা কোনো একক রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব না। আমরা বলি না, এটা আমরা বিএনপি করেছি, মরা কখনোই বলি এটা শুধু তারেক রহমান বলেছেন। বাংলাদেশের আপামর মানুষ এটি সম্ভব করেছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমার ভাই সাঈদ, চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতা ওয়াসিমসহ হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা আজকে ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। ওয়াসিমের রক্তের বিনিময়ে, সাঈদের রক্তের বিনিময়ে, সেই রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, শহীদদের আত্মদানকে কোনোভাবে বৃথা হতে দেয়া যাবে না। বাধা এলেও গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তাদের আত্মদান এবং তাদের দেখানো যে পথ, যেজন্য তারা জীবন দিয়েছে সেটা আমাদের এখন বাস্তবায়ন করতে হবে। এই সংগ্রাম আরও কঠিন, এই সংগ্রাম বাস্তবায়ন করতে হলে আরও বাধা আসবে। কিন্তু সেই বাধাকে তোমাদের ঠেলে ফেলে সত্যিকার অর্থেই আমরা একটি স্বাধীন গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করবো।’

জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দলটি ধারাবাহিকভাবে শহীদদের স্মরণে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।

এসএস