আজ বুধবার বিকেলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে পৃথক চারটি আদেশ জারি করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারি চাকরির ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে পাঠানো হয়েছে এনবিআরের সদস্য (শুল্ক নীতি) হোসেন আহমদ, সদস্য (আয়কর) মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. আব্দুর রউফ এবং কর কমিশনার (আয়কর) মো. শব্বির আহমদকে।
এতে আরো বলা হয়, যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান প্রয়োজন হবে—এ বিবেচনায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ৪৫ ধারার ক্ষমতা বলে তাদেরকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তবে তারা বিধি অনুসারে অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন।
আরো পড়ুন:
এছাড়া বরিশালে দায়িত্বে থাকা কর কমিশনার মো. শব্বির আহমদের চাকরিকালও ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। তাকেও একই ধারায় এবং একই বিবেচনায় বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও আইআরডির আদেশে, অবসরে পাঠানোর বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি, সেখানে শুধু ‘জনস্বার্থে’ সরকারি চাকরি থেকে অবসরের কথা বলা হয়েছে।
তবে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি শেষ হওয়া সংস্থাটিতে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এসব কর্মকর্তারা।
একদিন আগে গতকাল রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস বন্ধ রাখার অভিযোগে কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে ওএসডি করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এবার আরো চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো সরকার।
আরো পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ আলাদাকরণের উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম দফায় আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনে যুক্ত হন এনবিআরের সদস্যরাও। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মাধ্যমে কাস্টম ও ভ্যাট অফিসের কাজ বন্ধ রাখা হয়।
সরকার এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। পরে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন স্থগিত করে ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’। এর মধ্যেই ৬ এনবিআর কর্মকর্তার ‘দুর্নীতির’ তথ্যানুসন্ধান শুরুর তথ্য দেয় দুদক।
এদিকে দুদক এনবিআরের আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে।