অনুষ্ঠানের শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে মতবিনিময় সভায় নাপুসের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সংগঠক শিপার মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ক্রাউন ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী শহিদ মো. আকরাম খান রাব্বির পিতা মো. ফারুক খান ও ইউডার শিক্ষার্থী শহিদ জুলফিকার হাসান শাকিলের মা বিবি আয়েশা।
এ সময় বিবি আয়েশা বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই। যদি মৃত্যুর আগেও আমি আমার ছেলের বিচার দেখে মরতে পারি, তাও আমার আত্মার শান্তি পাবে।’
শহিদ আকরামের বাবা ফারুক খান বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ আমার ছেলে এবং এদেশের হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, তারা যেন এই দেশের মাটিতে আর রাজনীতি করার সুযোগ না পায়— এটাই আমাদের শহিদ পরিবারের চাওয়া।’
আহত জুলাই যোদ্ধা কাদিউল হাসান তানিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আহত হওয়ার পর থেকে নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। ফলে আমার পড়াশোনা ও চিকিৎসা আজ অনিশ্চয়তার মুখে।’
ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টসের সংগঠক জামান আশরাফের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক তৌফিক, সংগঠক হুমায়ুন শফিক ও সদস্য শেরিফ ফারুকী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাপুসের সংগঠক আল মাহমুদ অপু, মো. ওমর ফারুক, মাহমুদুল হাসান আশিক ও আদিত্য চৌধুরি প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।