ধর্ম উপদেষ্টা লেখেন, ‘আজ (শুক্রবার) খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি।’
তিনি লেখেন, ‘সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তারা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে।’
ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ‘অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লী, মোতুয়াল্লী ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না। তবে কোনো কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াযযিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন। এটাই হল মূল প্রতিপাদ্য।’
এর আগে গতকাল ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকসহ সামাজিক সমস্যা নিরসনে ইমাম-ওলামাদের করণীয়’ শীর্ষক খুলনা বিভাগীয় ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সব মসজিদের সভাপতি হবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইমামদের নিয়ম বা বরখাস্ত হতে হবে সরকারের প্রদত্ত নীতিমালা অনুযায়ী।’
তার এ বক্তব্য নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা শুরু হলে তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন।