ডা. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) পরিচালনা বোর্ডের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে সেখানে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। নতুন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব প্রক্রিয়া নিয়ে ৪২ জনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হবে।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক অ্যাডহক–ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য ৬৫ জন চিকিৎসকের একটি তালিকা তৈরি করেন। এর অনুমোদন দেন হাসপাতালটির পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আজিজুল হক।
এ নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবাদপত্রে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়নি। শুধু ১ জুন এ বিষয়ে একটি ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এতে জাতীয় বেতন স্কেলে নবম গ্রেডের পাঁচ ধরনের কর্মকর্তার (শিশু মেডিসিন, শিশু সার্জারি, শিশু অ্যানেসথেসিয়া, ইএনটি ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল) ৪২টি পদে ৩৫ বছরের কম বয়সি বাংলাদেশি নাগরিকদের পক্ষ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। বলা হয়, শিশু হাসপাতালে প্রশিক্ষণরত ও অধ্যয়নরত চিকিৎসকেরা চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন, তাদের বয়সও শিথিলযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২ জুলাই শিশু হাসপাতালের পরিচালককে চিঠি দিয়ে জানতে চায় যে; অ্যাডহক পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বানসহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল কি না। ৭ জুলাই মন্ত্রণালয়কে দেয়া চিঠিতে পরিচালক বলেন, ‘পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং হাসপাতালের চাকরি ও নিয়োগ বিধিমালা অনুসরণ করে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
এরপর ১০ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশু হাসপাতালের নিয়োগের বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।