জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান জানান, তারা আগেই প্রস্তুত ছিল। এখন পর্যন্ত ৬০ জন আহতকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং বহুজনের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সামনে স্বজনদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে, যারা শিক্ষার্থীদের বাবা-মা। কয়েক মিনিট অন্তর একটি করে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছাচ্ছে, আর স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে।
আরও বলেন:
বিধ্বস্ত বিমান দুর্ঘটনায় আহত ক্লাস ফোরের আরিয়ানের মা আঁখি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলের সারা শরীর পুড়ে গেছে। কয়দিন ধরে অসুস্থ ছিল, তাই স্কুলে যেতে দেয়নি।’ আরিয়ান উত্তরা দিয়াবাড়ির বাসিন্দা।
অগ্নিদগ্ধ ১৫ বছর বয়সী নাবিল ক্লাস সেভেনে পড়ে। তার মা নাছিমা বলেন, ‘স্কুল ছুটির পরে ছেলে ও তার বন্ধুরা মাঠে খেলছিল, তখন বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওর পুরো শরীর পুড়ে গেছে। আমি তাকে প্রথমবার বাংলাদেশ মেডিকেলে দেখেছি। আল্লাহ আমার ছেলেকে বাঁচান।’
আরও পড়ুন:
এদিকে, মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ফাতেমার পিতা লিয়ন মির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে সন্তানের সন্ধান চেয়ে আহাজারি করেছেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি ২১ জুলাই বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করে এবং ১টা ১৮ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ১টা ২২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
আরও পড়ুন:
মাইলস্টোন কলেজে দুর্ঘটনায় আহতদের মেট্রোরেলে বহনের জন্য নারী বগির পাশের বগি রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ৩ প্লাটুন বিজিবি।