বিএনপির এ দুই শীর্ষ নেতা নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আল-আমিন যেন সেইসব শোকার্ত পরিবারগুলোকে সন্তান হারানো কিংবা আহত হওয়ার ঘটনায় ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন এ দোয়া করেছেন।
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থীদের যারা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের আশু-সুস্থতা কামনা করেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সার্বিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তারা।
এদিকে দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিহত ও আহত পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের রক্ত দানের জন্যও দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে আজ (সোমবার, ২১ জুলাই) দুপুরেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, আরেক যুগ্ম-মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহবায়ক আমিনুল হক এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ দলের একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধি দল।
এছাড়া বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী- একটি উদ্ধারকারী টিমসহ অ্যাম্বুলেন্সের বহর নিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের বিমান দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এরপর প্রয়োজনীয় তৎপরতায় দুর্ঘটনায় পর থেকে বিএনপির একাধিক অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উত্তরায় ঘটনাস্থলে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ শুরু করেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।