আজকের (মঙ্গলবার, ২২ জুলাই) সকালটা আর দশটা সকালের মতো ছিল না মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণে। ক্লাসরুমে নেই শিশুদের কোলাহল, নেই চঞ্চল দৌড়ঝাঁপ, তার বদলে রয়েছে এক অসহনীয় নীরবতা। বিমান দুর্ঘটনায় চেনা ক্লাসরুমগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ধ্বংসস্তূপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কোমলমতি শিশুদের বই-খাতা ও খেলার সামগ্রি।
মঙ্গলবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের চারপাশ ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাজ করছে বিমান বাহিনীর অনুসন্ধান দল।
অন্যদিকে, স্কুল গেটের বাইরে সকাল থেকে ভিড় করেছে স্বজন আর উদ্বিগ্ন জনতার। কেউ খুঁজছে তার সন্তান, কেউ বা দাঁড়িয়ে আছে হারিয়ে যাওয়ার দুঃসহ প্রহর গুণে।
তৃতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী আফিয়া উম্মে মরিয়মকে খুঁজে পেতে রাজধানীর এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে পাগলের মতো ছুটেছেন মা তানিয়া আক্তার । তবে সব জায়গা থেকেই ফিরেছেন শূণ্য হাতে।
সকালে আফিয়ার খোঁজে ধসে যাওয়া স্কুল ভবনে এসে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। প্রতিটি ইট, প্রতিটি ধুলোর স্তূপে খুঁজে বেড়াচ্ছেন নিখোঁজ সন্তানকে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার শোক এ পরিবারগুলোকে বয়ে বেড়াতে হবে আজীবন।