এলডিসি থেকে উত্তরণ বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তেজগাঁওয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের সভা
দেশে এখন
0

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ (বুধবার, ৩০ জুলাই) স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সকাল ১১টায় এ সভা শুরু হয়।

সভায় এলডিসি থেকে উত্তরণসংক্রান্ত ১৬টি সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চারটি, শিল্প মন্ত্রণালয় তিনটি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দুটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় চারটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সভায় জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করছে। ইতোমধ্যে ১৯টি সংস্থা এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে, আরও কিছু সংস্থাকে যুক্ত করার কার্যক্রম চলমান। এছাড়া, ট্যারিফ পলিসি ২০২৩-এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর অগ্রগতির বিষয়েও তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

সভায় তৈরি পোশাক শিল্পের আদলে অন্যান্য রপ্তানি খাতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও প্রণোদনা প্রদান এবং ম্যান-মেইড ফাইবার সম্পর্কিত কাঁচামাল ও এ খাতের মেশিনারিজ আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন:

এছাড়া, সাভারের ট্যানারি ভিলেজে স্থাপিত ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) পূর্ণমাত্রায় চালু, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাস্তবায়নাধীন এপিআই পার্ক চালুকরণ এবং ২০২২ সালের শিল্প নীতিমালা হালনাগাদের অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চামড়া শিল্প নিয়ে আমরা বড় রকমের ভুল করেছি। এর যথাযথ মূল্যায়ন না করায় এই খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত আর্থিক সুবিধা পাইনি।’ তিনি চামড়া শিল্পের সংকট সমাধানে দ্রুত একটি পৃথক বৈঠক আয়োজনের নির্দেশ দেন।

এছাড়া আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ক পরবর্তী পর্যালোচনা সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নিজেদের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। যেসব নীতিমালা বা আইন এখন কোনো কাজে আসছে না, সেগুলো পরিবর্তন করে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে হবে। এগুলো মৌলিক বিষয়—উত্তরণের জন্য এগুলো বাস্তবায়ন জরুরি।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ।

এনএইচ