এর আগে ২৮ এপ্রিলে তিন টেরাবাইটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিল বিএসসিপিএলসি। মাত্র তিন মাসে সরবরাহ বাড়িয়েছে নতুন এক টেরাবাইট। এপ্রিলের আগের আট মাসে ব্যবহার ১.১০ টেরা বাইট বৃদ্ধি পেয়েছিলো। এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে এ প্রতিষ্ঠানের ৬৫% শতাংশের বেশি ক্যাপাসিটি অব্যবহৃত ফেলে রাখা হয়েছিল।
বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বেড়েছে ২.২ টেরাবাইটের কিছু বেশি এবং মাত্র এক বছরে প্রবৃদ্ধি ১০৫% এর বেশি।
বিগত কয়েক মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পলিসি সাপোর্ট এবং নির্দেশনা, প্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্টের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং দুই দফা মূল্য ছাড়ের প্রেক্ষিতে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
দেশে ব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির শেয়ার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কোম্পানির রাজস্ব আদায়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বিটিআরসি লাইসেন্সিং গাইডলাইন সংশোধনের মাধ্যমে সকল আইআইজি অপারেটরদের তাদের ব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সাবমেরিন ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে।
একতরফা ভারত নির্ভর ইন্টারনেট সরবরাহ থেকে কিছুটা সরে এসে, সাবমেরিন ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারকে অধিকতর উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি যে সকল আইআইজি অপারেটর তাদের ব্যবহৃত মোট ব্যান্ডউইথের ৫০ শতাংশের বেশি সাবমেরিন ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার শুরু করেছে।
বর্ধিত ব্যান্ডউইডথের উপর অতিরিক্ত মূল্যছাড় বাস্তবায়ন শুরু করেছে। পাশাপাশি রেগুলার ডিস্কাউন্টেড বাল্ক প্যাকেজের বাইরে ডেটা সেটার/ক্লাউড/'হাইপার স্কেলার'দের জন্য আলাদা ইন্টারনেট প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
সরকার বিদ্যমান এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৪ (SEA-ME-WE 4), এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৫ (SEA-ME-WE 5) এর পাশাপাশি এসইএ-এমই-ডব্লিউই ৬ (SEA-ME-WE 6) এর সংশোধিত রুটের জন্য চুক্তি করেছে, প্রস্তাবটি সর্বশেষ একনেক সভায় পাশ হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির রিয়েল টাইম ইন্টারনেট ফুটপ্রিন্টে আরো ১৭ টেরাবাইট নতুন ক্যাপাসিটি যুক্ত হবে।