মাছ আহরণের সময় ঘনিয়ে আসায় আবারো জমজমাট হয়ে উঠেছে এ ঘাট। বর্তমানে মাছ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে।
রাঙ্গামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মো. হারুনুর রশীদ বাসসকে জানান, আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের কারণে মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলেই অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছি।
সকল ব্যবসায়ীরা মাছ পরিবহনের জন্য ড্রাম, বরফ ভাঙ্গার মেশিনসহ সকল কিছুর প্রস্তুতি কাজ শেষ করেছে। দীর্ঘ সময় বেকার থাকার পর আবারো কাজ শুরু হওয়ায় আমরা সকলেই খুশি। হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকাসহ পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় এবার মাছ ব্যবসা ভাল হবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
গত ১লা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিনমাসের মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও, বিএফডিসির প্রস্তুতির জন্য নিষেধাজ্ঞা আরো দুই দিন বাড়িয়ে ২ আগস্ট পর্যন্ত হ্রদ থেকে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হয়।
৭২৫ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৭হাজার জেলে।
প্রতি বছর হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময় তিন মাস বেকার জেলে পরিবারকে ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ বছর সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য আহরণের বিপরীতে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।—বাসস