তিনি পোস্টে লেখেন, আগামীকাল জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে দাওয়াতের কার্ড পেলাম। শুনেছি এই সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের লেজিটিমেট বডি ১৫৮ জন সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়ককে দাওয়াত দিতে পারেনি, হয়তো কতগুলা আসন বসাবে কিন্তু ১৫৮ জনের জন্যে জায়গা হবে না।
আরও পড়ুন:
আবদুল হান্নান মাসউদ লেখেন, জানিনা এই চেয়ারগুলোতে শহিদ পরিবারের জায়গা হবে কি-না। যাদের সাহসিকতায় আর নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান আর এই সরকার, বছর না পেরোতেই তারা মূল্যহীন।
তিনি আরও লেখেন, আমার সহযোদ্ধা, যারা মৃত্যুকে পরোয়া না করে হাসিনার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে-তারা এবং সকল শহিদ পরিবার তাদের প্রাপ্য সম্মান না পেলে-আমি আবদুল হান্নান মাসউদ ব্যক্তিগতভাবে আজকের জুলাই ঘোষণাপত্রের প্রোগ্রাম বর্জন করার ঘোষণা দিচ্ছি।

এদিকে গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় আজ (মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট) মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মহান মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটের বর্ণনা থাকবে এ ঘোষণাপত্রে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম, খুন, গণহত্যা ও নিপীড়নের বিচারের পাশাপাশি শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র সংস্কারের উল্লেখ থাকবে ঘোষণাপত্রে।