সানাউল্লাহ বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সেই অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির আগেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
সভায় আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটগ্রহণ পদ্ধতি, এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
নির্বাচনে ড্রোন ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্নে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনে কেউই, এমনকি গণমাধ্যমও ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না। কমিশনের পক্ষ থেকেও এর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে না।’ তবে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে কমিশন এটি ব্যবহারে আগ্রহী।’
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটগ্রহণ বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘এবার প্রবাসীদের ভোট নেয়া হবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ভোটের অন্তত তিন সপ্তাহ আগে সংশ্লিষ্ট প্রবাসী ভোটারদের কাছে ব্যালট পাঠানো হবে। বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হবে, আর এতে কমিশন ও পোস্ট অফিস যৌথভাবে কাজ করবে।’
আরও পড়ুন
তিনি জানান, এই পোস্টাল পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। প্রতি ১ লাখ ভোটারের জন্য আনুমানিক ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। এই খাতে বাজেট বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়া হবে।
এছাড়া জানানো হয়, ৩১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে যারা ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হবেন, শুধুমাত্র তারাই আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
সভায় প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানান সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে বিশেষ দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের অবহিত করতে ভোটার এডুকেশন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
অন্যদিকে, আরপিও সংশোধনের কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তা পরবর্তীতে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার।