গণঅভ্যুত্থার পরও বদলায়নি আদিবাসীদের প্রতি আচরণ, উদ্বেগ নেতাদের

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আদিবাসীদের আলোচনা সভা‌
দেশে এখন
0

গণঅভ্যুত্থানের বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে রাষ্ট্রের বিমাতাসুলভ আচরণের কোনো পরিবর্তন নেই বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন আদিবাসী নেতারা এবং নাগরিক সমাজ। একইসঙ্গে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি তুলেছেন তারা।

বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, ধর্মের মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এখানে ৫৪টি জাতি-গোষ্ঠীর প্রায় ৪০ লাখ আদিবাসীর বসবাস। তবে বিপুল এ জনগোষ্ঠীর নিপীড়ন এবং অপ্রাপ্তির কাহিনী দীর্ঘদিনের।

এরইমধ্যে পালিত হচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। আজ (শনিবার, ৯ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আলোচনা সভা‌য় তুলে ধরা হয় আদিবাসীদের অধিকার, সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি‌। শোষণ ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।

বক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘শতশত গাছ কাটা হয়েছে। এই গাছ কাটা শুধু গাছ কাটা নয়। এটা তাদের পরিকল্পনা, ভূমি থেকে আদিবাসীদের গলা টিপে, তিলে তিলে শ্বাসরুদ্ধ করে কীভাবে তাড়িয়ে দেয়া যায় এটা তার প্রক্রিয়া।’

অন্য এক বক্তা বলেন, ‘আমাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আত্মনিয়ন্ত্রায়ণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য আমরা আদিবাসী তরুণ সমাজ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি।’

আরও পড়ুন:

বক্তাদের অভিযোগ, জুলাই অভ্যুত্থানের পর বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলেও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় ৫০টিরও বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।

বক্তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এ রাষ্ট্রকে আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিতে হবে। আদিবাসীদের ওপর যে অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার আর যে ধরনের হয়রানি এবং যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করা হয় তাদের ওপর, সেটা যেন বন্ধ করা হয়।’

বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দাবি তোলেন, তাদের অধিকার সংরক্ষণে রাষ্ট্রকে আন্তরিক হবার।

সভা শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন আদিবাসীরা। সেখানেও স্লোগানে স্লোগানে অধিকার নিশ্চিতের দাবি তোলেন তারা।

এসএস