এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি—নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ

আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া
দেশে এখন
0

অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। চব্বিশের আন্দোলনে ছিলেন ‘ফ্রন্ট লাইনার’। অভ্যুত্থানে মিছিল স্লোগানে ছিলেন সামনের সারিতে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। উপদেষ্টা আসিফ এই নির্বাচনে লড়বেন কি না, সরকারের দায়িত্ব ছেড়ে রাজনীতির মাঠে তাকে দেখা যাবে কি না কিংবা রাজনৈতিক দলে কবে ফিরছেন—এসব বিষয়ে এখন টিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই তরুণ নেতা।

এখন টিভি: উপদেষ্টা থেকে কবে রাজনীতিতে নাম লেখাবেন? মানুষ সে কথা জানতে চায়। আমরা দেখেছি চব্বিশের আন্দোলনে আপনি অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন, এখান থেকে কবে আবার রাজনৈতিক দলে ফিরবেন? কারণ আপনি বলেছিলেন যে দেশ গঠনে আপনি ভূমিকা রাখতে চান এবং সেই ইচ্ছা থেকেই গণঅভ্যুত্থানে এত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। সেজন্য জনগণের জন্য কাজ করতে রাজনৈতিক দলে কবে যাচ্ছেন?

আসিফ মাহমুদ: রাজনৈতিক দলে না থাকলেও তবে আমরা সবসময়ই রাজনৈতিক। মানুষ সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীব। আমার বিশ্বাস আমার ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সাত বছরের অ্যাক্টিভিজম, ফেসবুকে দুর্নীতিবিরোধী অ্যাক্টিভিজম, ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য গেস্টরুম নির্যাতন বন্ধের জন্য দীর্ঘ অ্যাক্টিভিজমের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেখান থেকেই রাজনীতিতে আসা এবং সেখান থেকেই ঘটনার পরিক্রমায় গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারিতে চলে আসা। সেই জায়গা থেকে এবং এখন এই কমিটমেন্টের জায়গাটা আরও বেশি দেশের মানুষের জন্য কাজ করার। কারণ আমাদের ডাকে যেখানে আমাদেরকে কেউ চিনতো না, যাদেরকে চিনতো না তাদের ডাকে এই যে শত শত হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে এবং জীবন দিয়েছে।

আমাদের অনেক শহীদের বাবা-মাকে লিখে আসা নোটে আমরা আমাদের নাম লিখেছি যে, ভাই ডাক দিয়েছে, যাচ্ছি। তো তাদের প্রতি কমিটমেন্টের জায়গা থেকে তারা যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে জীবন দিয়েছে, শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, এখন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি মাহমুদ রাকিব |ছবি: এখন টিভি

সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি বাংলাদেশকে আমার আরও অনেক কিছু দেয়ার আছে এবং আমি মনে করি, আমার জীবনটাই এর জন্য উৎসর্গীকৃত। এখন কোন ফরম্যাটে সেটা করবো, কোন রাজনৈতিক দলে কিংবা নির্বাচনের মাধ্যমে করবো কি না— সেটা এখনও সিদ্ধান্ত নেই। কারণ আমাদের এখন এই মুহূর্তে যেহেতু নির্বাচনের একটা ডেটলাইন আছে, সরকারের শেষ উদ্যোগ এখন বাস্তবায়ন করে সময়ের দিকে আমাদের অনেকগুলো যেতে হবে। একইসাথে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংস্কার কমিশনের অনেকগুলো প্রস্তাবনা আছে। এর মধ্যে কিছুও আপনারা দেখেছেন আমরা বাস্তবায়ন করেছি। ইতিমধ্যেই যেমন দলীয় মার্কা ছাড়া ভোটের বিষয়টা আমরা নিয়ে এসেছি। এগুলো বাস্তবায়ন করার একটা ডেটলাইন আছে। তো এই সময়টা ফুল এই কাজগুলোতে ফোকাস করছি এবং তারপরেই আশা করি সিদ্ধান্ত নিবো। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো যে, রাজনৈতিক দলে গেলে কোন রাজনৈতিক দলে যাবো।

এখন টিভি: যদি আমরা যদি বলি যে আগামী নির্বাচন তো অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে কাঠামোটি এগোচ্ছে এই রাষ্ট্র, তাহলে আগামী নির্বাচনেই কি আমরা আপনাকে দেখতে পাব?

আসিফ মাহমুদ: আমি এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থেকে সেটা অংশগ্রহণ করা সম্ভব হবে না। কারণ এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের যেই কমিটমেন্ট সেটা শতভাগ নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ হতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা সেটি বার বার বলছেন যে, একটি ঐতিহাসিক এবং স্বচ্ছ নির্বাচন তিনি উপহার দিতে চান।

আসু