তিনি বলেন, ‘হাওর ও চরাঞ্চলে শিক্ষকরা থাকতে চান না, তারা শহরে আসতে চান। এটি মূলত সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা। বদলির তদবিরও আসে ওপর মহল থেকে, যা অনেক সময় সমস্যাকে জটিল করে তোলে।’
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘এগুলো যদি কেবল আমাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হতো, সমাধান করা যেত। কিন্তু বদলির তদবির আসে ওপর থেকে। আমরা চেষ্টা করছি এসব কাটিয়ে ওঠতে।’
এটিওদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, ‘পদোন্নতি অবশ্যই প্রয়োজন। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে পদোন্নতি না হলেও চেইন অব কমান্ড ভেঙে যাবে না বলে আমি মনে করি।’
আরও পড়ুন:
এর আগে, সকাল ১০টায় তিনি জেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি। সভায় অংশ নেয়া শিক্ষকরা শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো সংকট, জনবল ঘাটতি, পদোন্নতি ও বদলি নীতিমালা সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষকদের নীতি-নৈতিকতার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার মানে দক্ষ হতে হবে। দেশ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থেকে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং পরিচালক (এনডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, জেলা ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক প্রধান শিক্ষক এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।