সীমানা নির্ধারণী শুনানিতে সিইসির সামনে হট্টগোল-মারামারি

ইসিতে হট্টগোল
দেশে এখন
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির প্রথম দিনেই হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এবং অন্যান্য কমিশনারদের উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

নির্বাচন কমিশনের খসড়া সীমানা প্রকাশের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। শুনানিতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন, অন্যদিকে কয়েকজন আবেদনকারী এর বিপক্ষে অবস্থান নেন।

একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কমিশনের কর্মকর্তারা এবং উপস্থিত পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর ইসি সচিব শুনানি সমাপ্ত ঘোষণা করেন এবং সংশ্লিষ্টদের কক্ষে ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রার্থী গুন্ডা নিয়ে এসেছেন। ১৫ বছর বিএনপির জন্য লড়াই করেছি, এখন তারা আমাকে ধাক্কা দেয়। নির্বাচন কমিশনে এমন ঘটনা ঘটেছে, এটি দুঃখজনক।’

অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের পক্ষ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আয়াতউল্লাহ অভিযোগ করেন, ‘আমরা বিজয়নগরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন অখণ্ড রাখার দাবিতে বক্তব্য দিতে গেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের বিএনপি নেতা রুমিন ফারহানার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রথমে তারা আমাদের ধাক্কা দেয়। এটি দেখে আমার অনুসারীরা বসে থাকেনি। তাদের ধাক্কার প্রতিবাদে আমাদের লোকজন ধাক্কা দিয়েছে।’ এনসিপির নেতাকর্মীদের পেটানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা কি এনসিপি-জামায়াত ছিল, নাকি গুন্ডা-মাস্তান ছিল সেটা আমরা দেখিনি।’

এনএইচ