আজ (রোববার, ২৪ আগস্ট) ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইসহাক দার বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বিষয়টির সমাধান হয়। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ বাংলাদেশ সফরে এসে এ বিষয়ে গোটা পাকিস্তান জাতির পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন। কাজেই ইস্যুটি সমাধান হয়ে গেছে।’
তবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি একমত নই। একমত হলে তো সমস্যাটাই সমাধান হয়ে যেত তাদের মত করে। আমরা আমাদের অবস্থান জানিয়েছি, ওনারা তাদেরটা জানিয়েছেন।’
বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের কাছে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ হত্যার স্বীকৃতি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। ২০০২ সালে জেনারেল মুশাররফ ঢাকায় এসে সাধারণভাবে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেছিলেন, তবে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাননি।
আরও পড়ুন
প্রায় ১৩ বছর পর ঢাকায় কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে রোববার দুই দেশ ছয়টি সমঝোতা, কর্মসূচি ও চুক্তি স্মারক সই করে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা বিলোপ, বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, সংস্কৃতি বিনিময় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা।
অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘৫৪ বছরের সমস্যা একদিনের মিটিংয়ে সমাধান হবে না। আমরা শুধু নিজেদের অবস্থান জানিয়েছি। তবে দুই পক্ষ একমত হয়েছি যে বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বাধা না হয়।’
তাহলে পাকিস্তান ক্ষমা চাইতে রাজি হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘না, সেটা বলা যাবে না। শুধু এটুকু বলা যায়—উভয়পক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।’