গত তিন মাস ধরে সুন্দরবনে মাছ ধরা, কাঁকড়া আহরণ ও পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। এই সময়ে স্থানীয় জেলে, বাওয়ালি ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা প্রায় বেকার হয়ে পড়েন। অনেকেই ঋণ নিয়ে সংসার চালিয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ টুরিস্ট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ট্রলার পড়ে থাকার কারণে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। তাই ঋণ নিয়ে মেরামত করতে হয়েছে। এখন পাস পাওয়ার পর আয় দিয়ে প্রথমে ঋণ শোধ করতে হবে।
জেলে বাচ্চু গাজী বলেন, ‘মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে ঋণ নিতে হয়েছে। এখন মাছ শিকার শুরু হলেও বাজারে দাম না থাকলে আবারও সমস্যা হবে।’
আরও পড়ুন:
জেলেদের অভিযোগ, সুন্দরবনের ১০০ ভাগের মধ্যে ৫২ ভাগ অভয়ারণ্য, মাত্র ৪৮ ভাগ উন্মুক্ত। এতে জীবিকা সংকট দেখা দেয়। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সময় কিছু অসাধু চক্র বিষ দিয়ে মাছ ধরে ও ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে।
বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, ১ সেপ্টেম্বর থেকে বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলে, বাওয়ালি ও পর্যটকরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে অভয়ারণ্যে মাছ ধরা বা কাঠ সংগ্রহের অনুমতি নেই।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশায়। বুড়িগোয়ালিনী ও কাকশিয়ালি ঘাটে পর্যটকবাহী ট্রলার মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, সুন্দরবন রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা ও পর্যটন বন্ধ রাখা জরুরি। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে জেলেরা কষ্টে পড়ে।