আজ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী

বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী
দেশে এখন
1

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, আজ তার ১০৭তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১৮ সালের এইদিনে (১ সেপ্টেম্বর) তিনি সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেনারেল ওসমানী।

মূলত ওসমানীর বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমানের কর্মস্থল সুনামগঞ্জে থাকায় সেখানেই জন্মগ্রহণ তার। জেনারেল ওসমান গণির গ্রামের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জে।

জেনারেল ওসমানী তরুণ বয়সে ব্রিটিশ আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকাকালে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। এছাড়া চট্টগ্রাম সেনানিবাসের প্রতিষ্ঠাতাও এই মুক্তিযুদ্ধ সর্বাধিনায়কের। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন কর্নেল হিসেবে।

তাজউদ্দিন আহমদ ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন। সেদিনের ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম এ জি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব দিয়ে ঘোষণা দেন।

একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।

১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেয়া হয়। এরপর ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসরে যান জেনারেল ওসমানী।

পরবর্তীতে অবশ্য তৎকালীন সরকারের অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন ওসমানী। আজ জেনারেল ওসমানীর জন্মবার্ষিকী পালনের লক্ষ্যে তার পিতৃভূমি সিলেটে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সিলেট নগরীর নাইওরপুলের ওসমানী জাদুঘরে থাকছে কর্মসূচি। সকাল ১০টায় ওসমানীর কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বিকেলে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা।

এএইচ