আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরতে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবির আয়োজন করে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: আসন্ন নির্বাচন, প্রবাসীদের অংশগ্রহণ ও আগামীর অর্থনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা।
আলোচনায় ক্ষমতায় গেলে বিএনপি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশ যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পেরেছে সে দেশগুলো ভালো করছে। যারা এ ধরনের মতভেদ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে পিছিয়েছে সে সমস্ত দেশ চরম বিরোধে গেছে, গৃহযুদ্ধ চলছে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।’
আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে কাজ করছে সরকার। ডলার নয়, দেশে টাকার সঙ্কট আছে বলে স্বীকার করেন গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলারের সঙ্কট ছিলো। মূল্যস্ফীতির একটা ঊর্ধ্বমুখী বিশাল প্রবণতা ছিলো। সবমিলিয়ে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছিল। আমাদের লক্ষ্য হলো সেখান থেকে দ্রুত বের হয়ে আসা এবং দ্রুত আমাদের অর্থনীতিকে একটা স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে আসা।’
আরও পড়ুন:
বক্তাদের মতে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশের মানুষের জন্য ভালো হতো। তবে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাবকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তারা। গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী আমলের আমলাতন্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বহাল রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনটা যদি আমরা ব্যর্থ করি তাহলে জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ হবো। এ দেশের জনগণ এবং তরুণ সমাজ আমাদের ক্ষমা করবে না। যারা এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে তাদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। অন্যথায় যে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বপ্ন আমরা দেখছি তা জলে ভেসে যাবে।’
ছাত্র জনতার মতোই চব্বিশের আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান ছিল তাই তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবী জানান এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘অভ্যুথান পরবর্তী বাংলাদেশের সে মানুষগুলোকে আমরা সামনে আনতে চাই এবং তাদের অধিকারের পক্ষে আমরা থাকতে চাই।’
বক্তারা জানান, শুধু পোস্টাল ব্যালট নয়, প্রবাসীদের জন্য আগাম ভোট কিংবা অনলাইন ভোটিংয়ের ব্যবস্থাও চালু করা যেতে পারে। পাশাপাশি অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।