আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর) কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে প্রকল্পে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলকে স্থায়ী করার প্রতিবাদে ডিএমটিসিএলের স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ এবং ডিএমটিসিএল পরিচালনা পর্ষদকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।
কর্মচারীদের দাবি, বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষ এবং ডিএমটিসিএল পরিচালনা পর্ষদকে বিষয়টি অবহিত করার পরও কেউ তোয়াক্কা করেনি। তারা মনে করছেন, এতে তাদের অধিকার খর্ব করে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তাই লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। যদি আইন বিরুদ্ধভাবে সুপারিশে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রকল্পের নিয়োগ পাওয়া জনবলকে স্থায়ী করা হয়, তাহলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে লিগ্যাল নোটিশে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে ডিএমটিসিএল গঠিত হলেও কর্মচারীদের জন্য কোনো স্বতন্ত্র সার্ভিস রুল তৈরি হয়নি। সার্ভিস রুল না থাকায় তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ ও হতাশা। ২০১৯ সালে একটি খসড়া সার্ভিস রুল তৈরি করা হলেও প্রকল্পের জনবলের অদৃশ্য চাপের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি।
আরও পড়ুন:
কর্মচারীরা জানান, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা। তবে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পরে গতবছরের ১২ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা ডিএমটিসিএলকে দ্রুত সার্ভিস রুল প্রস্তুত ও অনুমোদনের নির্দেশ দেন। তবে সেই সময়সীমা পার হলেও সার্ভিস রুল প্রণয়ন করা হয়নি, ফলে কর্মচারীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হন। বর্তমানে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে সার্ভিস রুল প্রণয়নের আশ্বাস দেয়ায় আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
কর্মচারীদের অভিযোগ, খসড়া সার্ভিস রুলের একাদশ অধ্যায়ে একটি ‘বিশেষ বিধান’ যুক্ত করা হয়েছে। এ বিধান অনুযায়ী, প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মচারীদের ডিএমটিসিএলের স্থায়ী জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার এবং প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে তাদের কার্যকাল গণনা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। নিয়মিত কর্মচারীদের মতে, এই বিধানটি অযৌক্তিক এবং প্রথা ও বিধিবিরোধী। তারা মনে করেন, এটি কার্যকর হলে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পদোন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।