লালবাসে আর ওঠা হবে না শাহরিয়ার আলম সাম্যের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ নেমে এসেছে শোক। ক্লাস-পরীক্ষা প্রথমে অর্ধবেলা পরে পূর্ণবেলা বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
সাধারণ শিক্ষার্থীরাসহ নানা সংগঠন পালন করে শোক ও দাবি জানায় সাম্য হত্যার বিচারের।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘দেশে অত্যাচার অনিয়ম চলছে। সারাদেশের সকল ক্যাম্পাসেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।’
শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। এসময় তারা নিরাপত্তা ক্যাম্পাসের দাবি জানায়।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আগামীতে কখনও যেন একজন শিক্ষার্থী আর এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার না হয়। সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এবং সাম্যের হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি। সাম্যের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে, আমরা শুধু নিন্দা জানিয়ে ক্ষান্ত হবো না। আমরা তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
অল্প সময়ের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের সৈনিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাম্যকে হত্যা করার ঘটনার নিন্দায় তারা।
এ ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা। জানান, এমন ঘটনা যেন না হয়, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে।
দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয় ও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য।