এদিকে পুলিশের মারধরের শিকার হওয়ার পর বিকেলে আবার শাহবাগ মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১০টার দিকে সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, ‘রংপুরের ঘটনায় এরই মধ্যে জিডি হয়েছে। তারা আসামিকে খোঁজার চেষ্টা করছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ের ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি একটা তদন্ত কমিটি করব।’
আরও পড়ুন:
এর আগে বুধবার সকালে বুয়েট শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগের মূল সড়ক থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে রওনা দিলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপের পর শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে না গিয়ে শাহবাগের দিকে সরে যান।
সবশেষ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ‘নিরীক্ষা কমিটি’ প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে ৫ দফা দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, রেলভবনে দুই উপদেষ্টার সঙ্গে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন:
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির জানান, এখনও কোন সমাধান হয়নি। আজ আবার বৈঠক হবে। এসময় শাহবাগে লাঠিচার্জের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
গত মঙ্গলবার থেকে তিন দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেন প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা।