অভিযাত্রায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের মাধ্যমে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না দিয়ে আমরা চাচ্ছিলাম বিচারিক প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। আওয়ামী লীগ যে সীমাহীন অন্যায়, জুলুম ও লুটপাট করেছে তাতে এ দলটার বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে ফুঁসে উঠেছে, অতএব এ পদক্ষেপ যুক্তিযুক্ত এবং এতে নাগরিকদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমরা মনে করি।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা এজন্য আন্দোলন করে আসছিলাম, কিন্তু এক অজানা কারণে আমাদের দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার গড়িমসি এবং কালক্ষেপণ করে। শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র জনতাকে রাজপথে নেমে দাবি আদায় করতে হয়েছে।’
আরো পড়ুন:
তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থন দানকারী সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান। অভিযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ওহাব মিনার। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন সভা সঞ্চালনা করেন।
এছাড়া পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল) গাজী নাসির, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, ছাত্র পক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান ব্যাপারী।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, পেশাজীবী কাউন্সিলের সদস্য সচিব শামীম মাহাবুব, দুর্যোগ বিষয়ক সহসম্পাদক মাসুদ জমাদ্দার রানা, স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহসম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন রমিজ, ছাত্র পক্ষের চুয়াডাঙ্গা জেলার আহবায়ক আলমগীর হোসাইন,গাইবান্ধা জেলা সহ সমন্বয়ক তাজুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রাফিউর রহমান ফাতাহ।
আরো পড়ুন:
মজিবুর রহমান মঞ্জু তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘আমরা সংবাদ সম্মেলন করে সর্বদলীয় কনভেনশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করেছিলাম। আওয়ামী লীগ হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে, গুম করেছে, দিনের পর দিন বিনা বিচারে মানুষকে আটকে রেখে বাংলাদেশকে একটি শ্মশানে পরিণত করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের লাখ লাখ টাকা পাচার করে কানাডায় বেগম পাড়া নামে স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে। আমাদের প্রতিটি টাকার পাইপাই হিসেব দিতে হবে এবং প্রত্যেকটি টাকা ফেরত আনতে হবে। এখানে দাঁড়িয়ে আমরা বলেছিলাম বাংলার মানুষ যখন জাগবে তখন আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। আমাদের প্রতিটি বক্তব্য সত্যে পরিণত হয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. ওহাব মিনার বলেন, ‘যে ফ্যাসিবাদের পতন ২৪ এ হয়েছে তা আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নাই, আপনারা নিশ্চিত থাকেন। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে ঘুমিয়ে না পড়ে এজন্য ছাত্রজনতা মাঠে পাহারা বসিয়েছে। যারাই নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইবে, গুম খুন লুটের মতো অপকর্ম করবে তারাই আওয়ামী লীগের মতো ভাগ্যবরণ করবে।’
তিনি পতিত স্বৈরাচারের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানান। ৫ আগস্টে যে ঐক্য হয়েছিলো তা ধরে রাখার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।
সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহসম্পাদক কেফায়েত হোসাইন তানভীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, সফিউল বাশার, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহসম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, আমেনা বেগম, শিক্ষা বিষয়ক সহসম্পাদক ফয়সাল মনির, সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক জামিল আহমেদ, সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুর মোহাম্মদ সুমন, যুবপার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল।
এছাড়াও যুবনেতা মাহমুদ আজাদ, রাশেদ, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী,যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক আরিফ সুলতান রাফিউর রহমান ফাত্তাহ, মাহমুদুল হাসান আসিফ, সোলাইমান আল হাবিব, ফারহানুল ইসলাম ইফতি, সায়েমুল ইসলাম, জাওয়াদ হামিম, মাশরুর ইসলাম মাহিন, মেহরাজুল ইসলাম আদরসহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্র পক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।